নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলায় ২০ টি হাটের মধ্যে ১৪ টির নামে মাত্র ইজারা সম্পূন হয়েছে বাকি ৬টি অস্থায়ী হাটের দরপত্র ক্রয় করেনি কেউ। তবে, অনেক হাট ইজারাদাররা অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেকটি হাটের ইজারা রাজনৈতিক ভাবে দেয়া হয়েছে। কাউকে ইজারা অংশ নিতে দেয়া হয়নি। তাই নামে মাত্র গতবার থেকে কিছু টাকা বেশি দিয়ে ইজারাদাররা হাটের ইজারা নিয়েছে।
আজ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১ টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেন হাট ইজারাদাররা।
জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১ টি হাটের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন আবেদন করে। এরমধ্যে ২০টি হাটের অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসক। এরমধ্যে হোসেনপুর কবরস্থান বিল্লাল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা পেয়েছেন গতবারের ইজারাদার মহিউদ্দিন আহম্মেদ শাহীন ৩০ হাজার টাকায়। গত বছর এ হাটের মুল্য ছিল ২৫ হাজার ৫ শত টাকা, চর কিশোরগঞ্জ বালুর মাঠের ইজারা কেউ নেননি, সোনারগাঁ ডিগ্রী কলেজ বালুর মাঠে পেয়েছেন গত বারের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন ২৬ হাজার টাকায় গত বছর এ হাটের ইজারা ছিল ২২ হাজার ৫ শত টাকায়, হাজী গিয়াসউদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারের বালুর মাঠের হাটটি কেউ ইজারা জন্য দরপত্র আহবান করেন নি, মেঘনা প্রতাবের চর বালুর মাঠ হাট ইজারা পেয়েছেন ফজরুল হক প্রধান ৩৪ হাজার টাকার গত বছর এ হাটের মূল্য ছিল ৩০ হাজার টাকা, বৈদ্যেরবাজার লঞ্চঘাট বালুর মাঠের হাট পেয়েছেন অহিদুল্লাহ ৮০ হাজার টাকায়। গত বছর এ হাটের মুল্য ছিল ৬৬ হাজার টাকায়, ধন্ধীবাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ পেয়েছেন শাহিন মোল্লা ৪১ হাজার টাকায় গত বছর এটার মূল্য ছিল ৩৪ হাজার টাকায়, উত্তর চরপাড়া সংলগ্ন মাঠটির হাটের ইজারার জন্য কেউ দরপত্র আহবান করেন নি।নয়াপুর এলাকার বাচ্চু মেম্বারের বাড়ীর মাঠটিও কেউ দরপত্র আহবান করেন নি, কাঁচপুর হাউজিং লিয়ালেন্স মাঠ মাঠটির ইজারা নিয়েছেন কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফারুক ওমর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। গত বছর এ হাটের দাম ছিল ১লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। রায়েরটেক বালুর মাঠের ইজারা পেয়েছেন আলাউদ্দিন ১০ লাখ টাকায়। গত বছর এ হাটের মূল্য ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বাংলাবাজার সংলগ্ন খালি বালুর মাঠের ইজারা জন্য কেউ দরপত্র আহবান করেননি। আলমদী দক্ষিনপাড়া চকবাজার বালুর মাঠের ইজারার জন্যও কেউ দরপত্র আহবান করেন নি। রিবর এলাকার করিমের বালুর মাঠের হাটটির ইজারা নিয়েছেন গত বছরের ঠিকাদার বালুল মিয়া ২৩ হাজার ৫শত টাকায়, গত বছর এ হাটের মুল্য ছিল ২১ হাজার ৮ শত টাকা। তালতলা বালুর মাঠের গরুর হাটের ইজারা নিয়েছেন জামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু ৩৩ হাজার ৪ শত টাকায়, গত বছরও তিনি এ হাটটির ইজারাদার ছিলেন। সেবার হাটটির মুল্য ধরা হয়েছিল ৩৩ হাজার টাকায়। মন্ধিরপুর নোয়াদ্ধা বাবু বালুর মাঠের ইজারা নিয়েছেন গত বছরের ইজারাদার সানাউল্লাহ মেম্বার হাটের মুল্য ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা, গত বছর এ হাটের মুল্য ছিলো ২৪ হাজার টাকা। সিরাবো জামে মসজিদ সংলগ্ন বালুর মাঠটির ইজারা পেয়েছেন আবু তাহের জিসান ২৪ হাজার ৯ শত টাকায়, গত বছর এ হাটটির মূল্য ছিল ২০ হাজার টাকা। অলিপুরা বাজার অস্থায়ী হাটটির ইজারা নিয়েছেন মনির হোসেন ২৩ হাজার ৫শত টাকায় গত বছর এ হাটের মুল্য ছিল ২০ হাজার টাকা। বিষ্ণনদী বাজারের হাটের ইজারা নিয়েছেন মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি ১৭ হাজার টাকায়। চরকিশোরগঞ্জ হাটেরর মাঠটির ইজারা জন্য কেউ দরপত্র আহবান করেননি।